Menu |||

কুয়েতে প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যু (দূতাবাস সূত্র)

আ,হ,জুবেদঃ    অর্থসঙ্কটের কারণে বিদেশে মারা যাওয়া বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠাতে পারছে না বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কমিউনিটি নেতারাই চাঁদা তুলে বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। অথচ এসব প্রবাসী বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ তহবিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছেন।
দিন যতই যাচ্ছে সমস্যা ততই বাড়ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর শরীরের ঘাম ঝরিয়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সরকারের অর্থ ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে প্রবাসীরা। অথচ একটি লাশ পাঠাতে দেশে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সেই প্রবাসীদের।

প্রবাসীদের অভিযোগ, বাবা-মা এবং পরিবার-পরিজন ছাড়া দূর প্রবাসের কর্ষ্টাজিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেও জীবিত অবস্থায় কোন সরকারি সুযোগ তো নেই। মৃত্যুর পরে লাশ নিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। দেশে পাঠানোর জন্য টাকা যোগাড় করতে লাশ রাখতে হয় হিমাগারে।
চরম দুর্গতি আর দুর্দশার মধ্যদিয়ে এটি হচ্ছে মৃত্যুর পরের অমানবিক একটি ঘটনা।

পরিস্থিতি যখন এহেন অমানবিক, ঠিক তখন সর্বমহলে একটি প্রশ্ন জেগেছে যে, কেন? কী কারণে? সংখ্যাধিক প্রবাসীদের মৃত্যু হচ্ছে বিদেশের মাটিতে।
এমতাবস্থায় প্রবাসীদের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট একটি কারণ উদঘাটন করতে অগ্রদৃষ্টি পরিবার কাজ শুরু করেছে কুয়েতে।
গত দু’বছর আগে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, অতিরিক্ত অভিবাসন খরচই বিদেশে প্রবাসী শ্রমিকদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করেন বর্তমান সরকার তাই অভিবাসন খরচ কমাতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী তখন আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করে একজন শ্রমিক বিদেশে যান। এরপর সেই খরচ তোলার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে তাঁরা অমানুষিক পরিশ্রম করেন। এ ছাড়া কর্মীরা অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এসব কারণে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। অত্যধিক পরিশ্রম ও মানসিক চাপে কর্মীদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে অনেক সময় অল্পবয়সী শ্রমিকেরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার অস্বাভাবিক অভিবাসন খরচ কমাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় এখন মাত্র ৩২ হাজার টাকায় কর্মী যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য দেশেও কম খরচে শ্রমিক পাঠানো হবে।’
নিঃসংকোচে বলা যায়, তখনকার মন্ত্রী মহোদয় কিছু যুগোপযুগি বিষয় উপস্থাপন করেছিলেন; যেটি আসলে’ই বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিল ছিল।

কিন্তু কোথায় সেই প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ? কোথায় সেই সল্প খরচে শ্রমিক প্রেরণ? কোথায় সত্যিকার অর্থে প্রবাসীদের কল্যাণে কিঞ্চিৎ কর্মের চিহ্ন কিংবা প্রবাসীদের মৃত্যু রোধকল্পে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ?

প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলো প্রবাসীদের মৃত্যুর এই হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে এক কোটি লোক বিদেশে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটটি লাশ আসা অসম্ভব কিছু নয়।

এদিকে অগ্রদৃষ্টির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিদেশ থেকে যাঁদের লাশ আসছে, তাঁদের মধ্যে ৯৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এঁদের ৩০ শতাংশ মারা গেছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে। অন্যরা হূদেরাগ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, ক্যানসার, আত্মহত্যা কিংবা প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন। গত দুই বছরে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে যত প্রবাসীর লাশ এসেছে, তাঁদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি, মৃতদের স্বজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পাঁচটি কারণে বাংলাদেশিরা স্ট্রোক বা হূদেরাগের মতো সমস্যায় পড়েন। এগুলো হলো প্রতিকূল পরিবেশ, যে বিপুল টাকা খরচ করে বিদেশে যান, সেই টাকা তুলতে অমানুষিক পরিশ্রম এবং একই সঙ্গে বাড়িতে টাকা পাঠানোর চিন্তা, দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং সব মিলিয়ে মানসিক চাপের কারণেই সাধারণত স্ট্রোক বা হূদেরাগের মতো ঘটনা ঘটছে।

দীর্ঘদিন কুয়েত সাবাহ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন আহমদ জাবের খালেদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রচণ্ড গরম। এখানে তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে। আমাদের শ্রমিকেরা যে পরিবেশে এখানে কাজ করছেন, সেটা অমানবিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্রম আইন মানা হয় না। আবার তাঁরা এখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকেন। সেখানে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যান।’ তিনি মনে করেন, কাজের পরিবেশ বা থাকার পরিবেশ উন্নত করা ছাড়া এই মৃত্যু বন্ধের কোনো উপায় নেই।

গত ছয় বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৮ হাাজার প্রবাসীরা দেশে লাশ হয়ে ফিরেছেন।
আর এই ৬বছরে কুয়েত থেকে প্রায় এক হাজার প্রবাসীরা লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্য মোতাবেক কুয়েতে প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৩জন প্রবাসীদের আকস্মিক মৃত্যু হচ্ছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী

» কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে

» সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে

» ফারুকীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়

» পাকিস্তান থেকে সেই আলোচিত জাহাজে যা যা এল

» মিছিল করায় আট মাস ধরে সৌদি কারাগারে ৯৩ প্রবাসী, দুশ্চিন্তায় পরিবার

» কুয়েতে যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

» ক্ষমা না চাইলে নুরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়

» বাকু থেকে ফিরলেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূস

» শুক্রবার আহত ও শহীদদের স্মরণে কর্মসূচি দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

কুয়েতে প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যু (দূতাবাস সূত্র)

আ,হ,জুবেদঃ    অর্থসঙ্কটের কারণে বিদেশে মারা যাওয়া বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠাতে পারছে না বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কমিউনিটি নেতারাই চাঁদা তুলে বাংলাদেশীদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। অথচ এসব প্রবাসী বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ তহবিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছেন।
দিন যতই যাচ্ছে সমস্যা ততই বাড়ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর শরীরের ঘাম ঝরিয়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সরকারের অর্থ ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে প্রবাসীরা। অথচ একটি লাশ পাঠাতে দেশে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সেই প্রবাসীদের।

প্রবাসীদের অভিযোগ, বাবা-মা এবং পরিবার-পরিজন ছাড়া দূর প্রবাসের কর্ষ্টাজিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেও জীবিত অবস্থায় কোন সরকারি সুযোগ তো নেই। মৃত্যুর পরে লাশ নিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। দেশে পাঠানোর জন্য টাকা যোগাড় করতে লাশ রাখতে হয় হিমাগারে।
চরম দুর্গতি আর দুর্দশার মধ্যদিয়ে এটি হচ্ছে মৃত্যুর পরের অমানবিক একটি ঘটনা।

পরিস্থিতি যখন এহেন অমানবিক, ঠিক তখন সর্বমহলে একটি প্রশ্ন জেগেছে যে, কেন? কী কারণে? সংখ্যাধিক প্রবাসীদের মৃত্যু হচ্ছে বিদেশের মাটিতে।
এমতাবস্থায় প্রবাসীদের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট একটি কারণ উদঘাটন করতে অগ্রদৃষ্টি পরিবার কাজ শুরু করেছে কুয়েতে।
গত দু’বছর আগে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, অতিরিক্ত অভিবাসন খরচই বিদেশে প্রবাসী শ্রমিকদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করেন বর্তমান সরকার তাই অভিবাসন খরচ কমাতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী তখন আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করে একজন শ্রমিক বিদেশে যান। এরপর সেই খরচ তোলার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে তাঁরা অমানুষিক পরিশ্রম করেন। এ ছাড়া কর্মীরা অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এসব কারণে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। অত্যধিক পরিশ্রম ও মানসিক চাপে কর্মীদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে অনেক সময় অল্পবয়সী শ্রমিকেরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার অস্বাভাবিক অভিবাসন খরচ কমাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় এখন মাত্র ৩২ হাজার টাকায় কর্মী যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য দেশেও কম খরচে শ্রমিক পাঠানো হবে।’
নিঃসংকোচে বলা যায়, তখনকার মন্ত্রী মহোদয় কিছু যুগোপযুগি বিষয় উপস্থাপন করেছিলেন; যেটি আসলে’ই বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিল ছিল।

কিন্তু কোথায় সেই প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ? কোথায় সেই সল্প খরচে শ্রমিক প্রেরণ? কোথায় সত্যিকার অর্থে প্রবাসীদের কল্যাণে কিঞ্চিৎ কর্মের চিহ্ন কিংবা প্রবাসীদের মৃত্যু রোধকল্পে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ?

প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলো প্রবাসীদের মৃত্যুর এই হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে এক কোটি লোক বিদেশে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটটি লাশ আসা অসম্ভব কিছু নয়।

এদিকে অগ্রদৃষ্টির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিদেশ থেকে যাঁদের লাশ আসছে, তাঁদের মধ্যে ৯৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এঁদের ৩০ শতাংশ মারা গেছেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে। অন্যরা হূদেরাগ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, ক্যানসার, আত্মহত্যা কিংবা প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন। গত দুই বছরে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে যত প্রবাসীর লাশ এসেছে, তাঁদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি, মৃতদের স্বজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পাঁচটি কারণে বাংলাদেশিরা স্ট্রোক বা হূদেরাগের মতো সমস্যায় পড়েন। এগুলো হলো প্রতিকূল পরিবেশ, যে বিপুল টাকা খরচ করে বিদেশে যান, সেই টাকা তুলতে অমানুষিক পরিশ্রম এবং একই সঙ্গে বাড়িতে টাকা পাঠানোর চিন্তা, দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং সব মিলিয়ে মানসিক চাপের কারণেই সাধারণত স্ট্রোক বা হূদেরাগের মতো ঘটনা ঘটছে।

দীর্ঘদিন কুয়েত সাবাহ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন আহমদ জাবের খালেদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রচণ্ড গরম। এখানে তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে। আমাদের শ্রমিকেরা যে পরিবেশে এখানে কাজ করছেন, সেটা অমানবিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্রম আইন মানা হয় না। আবার তাঁরা এখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকেন। সেখানে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যান।’ তিনি মনে করেন, কাজের পরিবেশ বা থাকার পরিবেশ উন্নত করা ছাড়া এই মৃত্যু বন্ধের কোনো উপায় নেই।

গত ছয় বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৮ হাাজার প্রবাসীরা দেশে লাশ হয়ে ফিরেছেন।
আর এই ৬বছরে কুয়েত থেকে প্রায় এক হাজার প্রবাসীরা লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্য মোতাবেক কুয়েতে প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৩জন প্রবাসীদের আকস্মিক মৃত্যু হচ্ছে।

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Thu, 21 Nov.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।